শুক্রবারের জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। কিন্তু অনেক সময় অফিস, যানজট কিংবা অন্য কারণে দেরি হয়ে যায়, ফলে নামাজের এক বা একাধিক রাকাত ছুটে যেতে পারে। এই অবস্থায় কী করতে হবে তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে। নিচে হাদিস ও আলেমদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
ইমামের সঙ্গে এক রাকাত পেলেই জুমা আদায় হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাতে ইমামের সঙ্গে পেল, সে জুমা পেল।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৫৩)। অর্থাৎ, আপনি যদি ইমামের সঙ্গে অন্তত এক রাকাত রুকুসহ পান, তাহলে আপনার জুমার নামাজ আদায় হয়েছে বলে গণ্য হবে। ইমাম সালাম ফেরানোর পর উঠে বাকি এক রাকাত নিজে আদায় করবেন।
যদি আপনি দেরি করে এসে দেখেন ইমাম রুকুতে আছেন, তাহলে তাকবির বলে রুকুতে যোগ দেবেন। রুকু পেলে সেই রাকাত গণ্য হবে। কিন্তু যদি ইমাম রুকু থেকে উঠে যান, তবে সেই রাকাত পাওয়া যাবে না।
যদি আপনি মসজিদে পৌঁছান যখন ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেলেছেন, তাহলে জুমা আদায় হবে না। এই অবস্থায় আপনাকে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে। কারণ জুমার নামাজ কেবল জামাতে আদায়যোগ্য।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি মসজিদে পৌঁছান যখন ইমাম দ্বিতীয় রাকাতে রুকুতে আছেন, তখন তাকবির বলে রুকুতে যোগ দিন। এতে আপনি এক রাকাত পাবেন। ইমাম সালাম ফিরানোর পর নিজে আরও এক রাকাত আদায় করুন। এতে আপনার জুমা সম্পূর্ণ হবে।
জুমা নামাজের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর স্মরণে মুসলিমদের একত্র হওয়া এবং ঐক্য প্রদর্শন। তাই আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গেই মসজিদে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। তবে যদি কোনো কারণে রাকাত ছুটেও যায়, উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করলে নামাজ সহীহ হবে, ইনশাআল্লাহ।
সুত্রঃ ইসলামী ফাউন্ডেশন আর্কাইভ
ডেইলি কলমকথার সকল নিউজ সবার আগে পেতে গুগল নিউজ ফিড ফলো করুন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।